ইমাম হুসাইন(রা:) কে যারা ভুল বলে তাদের মিথ্যা দাবীর খন্ডন।




📝সাজ্জাদ।


বিষয়:- ইমাম হুসাইন(রা:) কে যারা ভুল বলে তাদের মিথ্যা দাবীর খন্ডন। (কোরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে)।
লেখক:- শহীদুল ইসলাম সাজ্জাদ।

নবিজী (সা:) এর নাতি যাকে কোলে নিয়ে নাম নাম রাখেন হুসাইন।নবিজী সা: নামাজ পড়লে যিনি ছোটবেলা নবী সা: এর পিঠে চড়ে বসতেন।যার জন্য নবী সা: সিজদাহ দীর্ঘায়িত করে দেন।নবী সা: ঘোষণা দেন যে "আমার হাসান ও হুসাইন জান্নাতের যুবকদের সর্দার।আরো বলেন যে হুসাইনকে কষ্ট দিল সে আমাকেই দিল।আমি হুসাইন হতে হুসাইন আমার হতে।"
অনেকে বলে এগুলো জেনে আমাদের কি লাভ এটা তো আর ইমানের বিষয় না।এটা বড় একটা ভুল।বরং নবিজী বলেছেন কেও সারাজীবন হাতিমে কাবার সামনে নামাজ পড়েও আমার আহলে বায়াতের উপরে বিদ্বেষ রাখলে সে জাহান্নামি হবে।গাদিরে খুমে রাসুল(সা:) বলেছেন দুটি ভারী বস্তু রেখে যাচ্ছি একটা কোরআন ও অপরটি আহলে বায়াত(নবি পরিবার)।
সুন্নিদের ভেতরে যারা নাসেবী তাদের (বিশেষ করে আহলে হাদিস) মতে,
ইমাম হুসাইন(রা:)নাকি ভুলের মধ্যে ছিলেন।ইয়াজিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া নাকি ভুল।নাউযুবিল্লাহ।আমি আমার কারবালার সিরিজে রেফারেন্স সহ দেখিয়েছি তাদের দাবী কতোটা অসার।
আজকে প্রতি টা বিষয় সহিহ হাদিসের প্রমাণসহ দেখাবো যে প্রতিটা সিদ্ধান্ত ই ইমাম হুসাইন (রা:) এর নির্ভুল ছিল।বাস্তবে ইমাম হুসাইন(রা:) সঠিক ছিলেন।যারাই ইমাম হুসাইনকে ভুল বলে বরং এরাই গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট দল।
যারা ইমাম হুসাইন(রা:) কে ভুল মনে করে সেই নাসেবীদের দাবীর খন্ডন:-
দাবী ১)নাসেবী রা (নবি পরিবার বিদ্বেষী) দাবী করে থাকে যে ইমাম হাসান (রা:) মুয়াবিয়ার সাথে শান্তি চুক্তি করেছে।আর মুয়াবিয়া তার ছেলে ইয়াজিদকে খলিফা বানিয়ে দিয়েছে।এটাই ছিল নাকি সঠিক সিদ্ধান্ত।
দাবী ২)অথচ ইমাম হুসাইন(রা:) তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেন।তাকে বলা হয়েছিল কুফায় না যাওয়ার জন্য তাও উনি(ইমাম হুসাইন) গেলেন।পরিশেষে তারা বলে যে ইমাম হুসাইন(রা:) এর সিদ্ধান্ত ই ভুল ছিল।ইয়াজিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া হারাম।
দাবী ৩) শাসক যতই অত্যাচার করুক না কেন তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া যাবে না।এই কারণে ইমাম হুসাইন (রা:) ভুল কাজ করেছে।যেই শাসকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে তাকেই হত্যা করতে হবে।
দাবি ৪) সকল সাহাবী মিয়ারে হক।মুয়াবিয়া যেহুতু সাহাবি তাই তার ভুল বলা যাবে না।[অতএব তার ছেলে ইয়াজিদকে উনি বসিয়েছেন যেভাবেই হোক এটাকে ডিফেন্ড করতে হবে।এমন একটা প্রচেষ্ঠা চালায়]
উত্তর ১:--- সরাসরি নাসেবীরা ইমাম হাসান রা: এর ব্যাপারে সামান্য বলে স্কিপ করে।বুখারীতে এই হাদীস সরাসরি আছে যে ইমাম হাসান রা: খলিফা হওয়ার পরে সিফফিনের বাকী যুদ্ধ পরিচালনার জন্য বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে যান মুয়াবিয়ার বিপক্ষে রওনা দেন(১)
যেটা ওনার পিতা(হযরত আলী) সাথে হচ্ছিল।মুয়াবিয়া বাহিনী পরিশেষে ইমাম হাসান রা: এর কাছে শান্তি চুক্তি পাঠান।
নবিজী(সা:) এর শিক্ষা হলো,কাফের ও যদি শান্তি চুক্তি করতে চায়,তবে তা গ্রহণ করতে।যেভাবে হুদায়বিয়ার সন্ধিতে রাসুল (সা:) করেছিলেন।সেখানে মুয়াবিয়ার বাহিনী তো মুসলিম।তাই ইমাম হাসান রা: তাই শান্তি চুক্তি গ্রহণ করেন।কিন্তু এখানে কিছু শর্ত ছিল।ইমাম হাসান(রা:) হলো বৈধ খলিফা;যিনি ৬ মাস বহাল ছিলেন।সে হিসেবে উনি মুয়াবিয়াকে ক্ষমতা দিলে শর্ত রাখতেই পারেন যাতে উনি সুন্দরভাবে খেলাফত সিস্টেমে সবকিছু পরিচালনা করেন।(২)
কিন্তু মুয়াবিয়া কি খলিফাদের নিয়মে দেশ চালিয়েছেন? মোটেও না।মুসলিম শরীফ খুললে দেখা যায় যে উনি জোড় করে ধন লুট করতে অনুপ্রাণিত করতেন।যা সহিহ মুসলিম :৪৭৭৬ এ আছে।(৩)
তার দলের লোকেরা হযরত আলী রা: কে গালি ও অভিশাপ দিত।উনি বন্ধ করতে চাইলেই পারতেন কিন্তু করলেন না।(৪)
তার সময়কালে মুয়াবিয়ার দলের লোকেরা চক্রান্ত করে ইমাম হাসান (রা:) কে বিষ দিয়ে মেরেছে।
শুধু কি তাই???সে প্রতিষ্ঠিত করে যায় যে তার ছেলে ইয়াজিদ ই হলো তার পরবর্তী খলিফা।এর বিরোধীতা সরাসরি করে ৪ জন।
* হুসাইন ইবনে আলী রা:
*আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর রা:
*আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা:
*আব্দুল্লাহ ইবনে যোবায়ের রা:
ওনারা মনে করেন যে যদি রাজার পুত্র রাজা অন্ধভাবে আসতে থাকে তবে যোগ্যতম প্রতিনিধি নির্বাচন করা সম্ভব না।সরাসরি ওনারা মুয়াবিয়ার কাজের বিরোধীতা করেন।মুয়াবিয়া যদি সাহাবী হওয়ার কারণেই সব সঠিক যারা বলে তাহলে ওনারা কি সাহাবী না???অথচ ওনারা যখন মুসলিম হয়েছেন ইসলামের জন্য কষ্ট করেছে তখন মুয়াবিয়ার ইসলাম গ্রহণের নাম গন্ধ ও ছিল না।
উত্তর ২:- কুফা থেকে যখন ইমাম হুসাইনের কাছে চিঠি আসতে থাকে তখন ইমাম হুসাইন রা: এর এটা দায়িত্ব ছিল কুফায় যাওয়া।ওনাকে যারা যেতে বারণ করেন তারা এইজন্য করেন ইমাম হুসাইন মারা যেতে পারে এই দুশ্চিন্তায়।ইমাম হুসাইন কে তারা সারাজীবনের জন্য তাদের মাঝ থেকে হারাতে চান না।আর যারা বাধা দেন সেই বাকী ৩ জন যাদের কথা বললাম তারা নিজেরাও ইয়াজিদকে খলিফা মানেন না।মুয়াবিয়ার কাজকে পরিত্যাগ করেছেন।অর্থাৎ তারা নিজেরাও ইমাম হুসাইন এর সিদ্ধান্ত কেই সঠিক মনে করে। বাধা দিচ্ছে শুধু ইমাম হুসাইন যদি মারা যান এই আশংকায়।
এখন নাসেবীরা আরেকবার ইমাম হুসাইনের প্রতি আরোপ লাগাতে পারে যে প্রাণনাশ হতে পারে এইজন্য যাওয়া ঠিক না।এটার উত্তর হলো ইমাম হুসাইম আগেই তার চাচাতো ভাই মুহাম্মদ বিন আকিল কে পাঠান যে সব ঠিকঠাক আছে কিনা জানার জন্য।সব ঠিকঠাক জেনেই রওনা দেন।
আর চতুর্দিকে ইয়াজিদ এত অন্যায় করবে।কুফার মানুষ এত এত চিঠি পাঠাচ্ছে।তাই তো ওনার দায়িত্ব ছিল যে কুফায় যাওয়া।আর মহাবীর রা কখনো নিজের জীবনের পরোয়া করে না।সত্যের পথে চলাই তাদের কাছে সব।
উত্তর ৩:- শাসকের আনুগত্য করতে হবে এই হাদীসটা ততক্ষণের যখন শাসক কোরান সুন্নাহ অনুযায়ী দেশ চালাবে।মুসলিম শরীফে এটা আছে যে একজন তাবেঈ এক সাহাবীকে জিজ্ঞাসা করছে মুয়াবিয়া যে অন্যায়ভআবে মানুষকে হত্যা ও ধন লুটের অনুপ্রেরণা দেয় এখন করনীয় কি।তখন সেই সাহাবী(আব্দুল্লাহ বিন আমর) উত্তর দেন যতক্ষণ না কোরান-সুন্নাহ অনুযায়ী সে তার কাজ পালন করছে ততক্ষণ অনুগত থাক।আর এর বিরুদ্ধে গেলে তোমরাও বিরোধীতা করো।
শুধু তাই না।তিরমিযীতে সহিহ সূত্রে হাদিস রয়েছে যে,নবি(সা:) বলেছেন=>
খুব শীঘ্রই আমার পরে এমন কিছু সংখ্যক শাসক আবির্ভূত হবে, যে লোক তাদের সংস্পর্শে গিয়ে তাদের মিথ্যাচারকে সমর্থন করবে এবং তাদেরকে অত্যাচারে সহায়তা দান করবে সে আমার দলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয় এবং আমিও তার দলে অন্তর্ভুক্ত নই। আর সে ব্যক্তি হাওযে কাওসারে আমার সামনে পৌছতে পারবে না।(৫)
অর্থাৎ যে জালেম শাসককে সমর্থন করবে সে হাউজে কাউছারের পানি ও পাবে না।
সেই হিসেবে ইয়াজিদ নিশ্চয়ই কোন পরহেজগার লোক ছিল না।তার মদিনা ও মক্কা আক্রমণ ই তা প্রমাণ করে।
ইয়াজিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ই ছিল বৈধ।ইমাম হুসাইন রা: যা করেছেন তা সম্পূর্ণ সঠিক করেছে।এখন প্রশ্ন থাকতে পারে যে ইয়াজিদ বাহিনী যদি সঠিক পথে আসত তবে কি ইমাম হুসাইন (রা:) তাদের গ্রহণ করতেন? উত্তর হলো অবশ্যই হ্যা।কিন্তু কারবালাতে ইমাম হুসাইনকে তারা হত্যা করে।তার কাছে দুইটা অপশন ছিল।
এক--->> ইয়াজিদকে অন্ধভাবে মেনে নাও।
দুই--->> নয়তো মেরে ফেলা হবে।
ইমাম হুসাইন(রা:) মিথ্যাকে মানার বদলে দ্বিতীয় অপশন গ্রহণ করলেন।সত্য কে গ্রহণ করে ওনার জীবন ত্যাগ করলেন।রাসুলুল্লাহ(সা:) এর নাতি ইমাম হুসাইন(রা:) তার পরিবারসহ কারবালাতে শহীদ হয়েছেন।তারপরেও জালেম শাসক এর অন্যায়কে সমর্থন করেন নি।তার উপরে অসংখ্য তীর মারা হয়েছে।পুরো শরীর ক্ষত বিক্ষত করা হয়েছিল।দেহ থেকে মস্তক আলাদা করে দেয়া হয়েছে।উনি জীবন দিয়েছেন কিন্তু অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন নি।
উত্তর ৪:- মুয়াবিয়া তার ছেলে ইয়াজিদকে বসিয়েছে যেহুতু তাই এ ব্যাপারে কোন প্রশ্ন ই নাকি করা চলবে না।অনেকে তো ইয়াজিদ এর অবস্থানকে সঠিক বলে শুধু তার পিতা তাকে বসিয়েছে এইজন্য।তার নিকট অনেক সাহাবী বায়াত করেছিল এজন্য।[জোড় জবরদস্তি করে করিয়েছিল এটা কখনো বলে না]
আচ্ছা আমার একটা ছোট প্রশ্ন।মক্কা বিজয়ের পরে মুসলিম হওয়া মুয়াবিয়া সাহাবী হওয়াতে যেহুতু এত সম্মানিত হয়ে যায় যে সে যাই বলে সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে মেনে নিতে হয়;তাহলে যেই সাহাবীরা ইয়াজিদ এর বায়াত নেয়ার বিরুদ্ধে ছিলেন তারা? আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর(রা:),আব্দুর রহমান বিন আবু বকর(রা:),আব্দুল্লাহ বিন যোবায়ের (রা:) এরা কি সাহাবী না??
আর যারা বলে ইয়াজিদ এর কাছে সাহাবিরা বায়াত হয়েছে।এজন্য ইয়াজিদ নাকি যোগ্য শাসক।আর ইমাম হুসাইন (রা:) এর নাকি ত্রুটি হয়েছে।এসব বলা লোকদেরকে আমার প্রশ্ন আছে।
তাদের থেকে জানতে চাই আপনারা এগুলো কেন বলেন না যে ইমাম হুসাইন (রা:) এর হত্যার পরে ইয়াজিদ এর বায়াত সাথে সাথে মদিনাবাসী ভেঙ্গে দেয়।আব্দুল্লাহ বিন যোবায়ের(রা:) এই নেতৃত্বে এটা হয়েছিল।কেন বলেন না?এজন্যই ইয়াজিদ কারবালার ঘটনার পরের বছর মদিনাতে হামলা করেছিল।মদিনাতে হামলা করে অসংখ্য সাহাবী মেরে ফেলে আর লুটপাত করে।
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এসে আব্দুল্লাহ বিন যোবায়ের (রা:) কে মেরে রাস্তায় তার মৃতদেহ টাঙ্গিয়ে রাখে।আর বলে ওনাকে ইহুদির কবরে ফেলে আসো।(৬)সহিহ মুসলিম এর হাদীস কি চোখে পড়ে না?এরমানে হলো আপনারা আসলে সাহাবীদের জামাত না।আপনারা সাহাবীদের ভালোবাসার কথা বলেন কিন্তু ভালোবাসেন হলো বানু উমাইয়াকে।
যেই সরকার আসবে তার ই অন্ধ আনুগত্য করেন। হুসাইন(রা:) কে ভুল বলতে সামান্য দিল ও কাপে না এদের।নাউযুবিল্লাহ!
সকল সাহাবী নাকি সত্যের মাপকাঠি।আসলেই কি কোরআন এমন কিছু বলেছে?আসুল দেখি কোরআন কি বলে।কোরআনে সকল সাহাবা মিয়ারে হক এমন কোন কথা নেই।কোরআন সাহাবীদের ৩ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।এক সত্যিকারের মুত্তাকি ও পরহেজগার।দুই হলো উপর দিয়ে মুসলিম ভিতরে মুনাফিক।তিন হলো ভালো ও মন্দ মিশ্র আমল করে।=====>
আর যে সব মুহাজির ও আনসার অগ্রবর্তী এবং প্রথম, আর যে সব লোক সরল অন্তরে তাদের অনুগামী, আল্লাহ তাদের প্রতি রাযী-খুশি হয়েছেন যেমনভাবে তারা তাঁর প্রতি রাযী হয়েছে, আর আল্লাহ তাদের জন্য এমন উদ্যানসমূহ প্রস্তুত করে রেখেছেন যার তলদেশে নহরসমূহ বইতে থাকবে, যার মধ্যে তারা চিরস্থায়ীভাবে অবস্থান করবে, তা হচ্ছে বিরাট কৃতকার্যতা।(সূরা তাওবা:১০০)
আর তোমাদের মরুবাসীদের মধ্য হতে কতিপয় লোক এবং মাদীনাবাসীদের মধ্য হতেও কতিপয় লোক এমন মুনাফিক রয়েছে যারা নিফাকের চরমে পৌঁছে গেছে। তুমি তাদেরকে জাননা, আমিই তাদেরকে জানি, আমি তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি প্রদান করব, অতঃপর (পরকালেও) তারা মহা শাস্তির দিকে প্রত্যাবর্তিত
হবে।।(সূরা তাওবা:১০১)
এবং আরও কতকগুলি লোক আছে যারা নিজেদের অপরাধসমূহ স্বীকার করেছে, যারা মিশ্রিত 'আমল করেছিল, কিছু ভাল, আর কিছু মন্দ, আশা রয়েছে যে, আল্লাহ তাদের প্রতি করুণা দৃষ্টি করবেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়।।(সূরা তাওবা:১০২)
মুয়াবিয়া কোন মুহাজির ও নয় আনসার ও নয়।যাদেরকে আল্লাহ পরহেজগার বলেছেন।এখানে মুয়াবিয়া হলেন এমন সাহাবী যিনি কিনা ভালো ও মন্দ মিশ্র কাজ করেছেন।মুয়াবিয়া হলেন আবু সুফিয়ানের ছেলে।তার মাতা হলেন হিন্দা।আবু সুফিয়ান সেই ব্যক্তি যিনি কাফের থাকতে নবিজী(সা:)এর সাথে উহুদের যুদ্ধ করেছিল।
সেই যুদ্ধেই নবি সা: এর দাত মোবারক শহীদ হয়। ৭০ জন সাহাবী শহীদ হয়ে যান।এই যুদ্ধেই নবিজী (সা:) এর চাচা হামযা(রা:) কে শহীদ করা হয়।হামযা(রা:) কে শহীদ করে তার শরীর ফেড়ে আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দা তার কলিজা চাবিয়ে পৈশাচিক আনন্দ নিয়েছিল। মুয়াবিয়া নবিজীর(সা:)এর জীবনের একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে মুসলমান হন।মুয়াবিয়ার পরিবার ইসলামের গ্রহণের আগে থেকেই প্রচন্ড শত্রুতা করে আসছে।এমনকি ইসলাম গ্রহণের পরেও ওনার প্রচন্ড অপরাধ লক্ষ্য করা যায়।যেহুতু উনি মুসলিম হয়েছেন এবং নামমাত্র সাহাবী হয়েছেন তাই ওনাকে হাদীসে ( রা:) বলা হয়েছে।কিন্তু তাই বলে যে মুহাদ্দিসগণ ওনার অপরাধ লুকানোর চেষ্টা করেছেন এমন নয়।বরং সরাসরি বর্ণনা করেছেন।
রেফারেন্স সহ হাদিস=>
(১)হাসান (বাসরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহর কসম, হাসান ইবনু 'আলী (রাঃ) পর্বত প্রমাণ সেনাদল নিয়ে মু'আবিয়াহ (রাঃ)-এর মুখোমুখী হলেন। আমর ইবনু 'আস (রাঃ) বললেন, আমি এমন সেনাদল দেখতে পাচ্ছি যারা প্রতিপক্ষকে হত্যা না করে ফিরে যাবে না। মুআবিয়াহ (রাঃ) তখন বললেন, 'হে 'আমর! এরা ওদের এবং ওরা এদের হত্যা করলে, আমি কাকে দিয়ে লোকের সমস্যার সমাধান করব? তাদের নারীদের কে তত্ত্বাবধান করবে? তাদের দুর্বল ও শিশুদের কে রক্ষণাবেক্ষণ করবে? অতঃপর তিনি কুরায়শের বানূ আবদে শাম্‌স্‌ শাখার দু'ব্যক্তি 'আবদুর রহমান ইন্তু সামুরাহ ও 'আবদুল্লাহ্ ইবনু আমর (রাঃ)-কে হাসান (রাঃ)-এর নিকট পাঠালেন। তিনি তাদের বললেন, তোমরা উভয়ে এ ব্যক্তিটির নিকট যাও এবং তাঁর নিকট (সন্ধির প্রস্তাব পেশ করো, তাঁর সঙ্গে আলোচনা কর ও তাঁর বক্তব্য জানতে চেষ্টা কর। তাঁরা তাঁর নিকট রয়ে গেলেন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বললেন, আলাপ-আলোচনা করলেন এবং তাঁর বক্তব্য জানলেন। হাসান ইবনু “আলী (রাঃ) তাদের বললেন, “আমরা আবদুল মুত্তালিবের সন্তান, এই সম্পদ (বায়তুল মালের) আমরা পেয়েছি আর এরা রক্তপাতে লিপ্ত হয়েছে।" তারা উভয়ে বললেন, [মু'আবিয়াহ (রাঃ)] আপনার নিকট এরূপ বক্তব্য পেশ করেছেন। আর আপনার বক্তব্যও জানতে চেয়েছেন ও সন্ধি কামনা করেছেন। তিনি বললেন, 'এ দায়িত্ব কে নিবে?" তারা (তার জবাবে) বললেন, 'আমরা এ দায়িত্ব নিচ্ছি।' অতঃপর তিনি তাঁর সঙ্গে সন্ধি করলেন। হাসান (বসরী) (রহঃ) বলেন, আমি আবূ বাকরাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি : 'রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু "আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি মিম্বরের উপর দেখেছি, হাসান বিন আলী (রাঃ) তাঁর পাশে ছিলেন। তিনি একবার লোকদের দিকে আরেকবার তাঁর দিকে তাকাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, আমার এ সন্তান একজন নেতা। সম্ভবত তার মাধ্যমে আল্লাহ্ তা'আলা মুসলমানদের দু'টি বড় দলের মধ্যে মীমাংসা করাবেন।' [সহিহ বুখারী: ২৭০৪ ও ৭১০৯]
২)হাসান বিন আলী (আ:) যে সকল শর্তের ভিত্তিতে মুআবিয়াহ্ বিন আবী সুফিয়ানের কাছে বায়আত করেছিলেন, সেগুলো হাদিসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ও ইতিহাসগ্রন্থসমূহে বর্ণিত হয়েছে। যেমনঃ
* মু'আবিয়াহ আল্লাহর কিতাব, আল্লাহর রসূলের(সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুন্নাহ ও খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শানুযায়ী শাসন করবেন।
* মু'আবিয়াহ তার কোনও উত্তরসূরি নির্ধারণ না করে উম্মাহর শুরার হাতে ছেড়ে যাবেন।
* আলী ইবনু আবী তালিবের সৈন্যদের ভেতর আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে কোনও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নেয়া যাবে। না।
* খুমুসের বণ্টন খুলাফায়ে রাশেদিনের আমলের মত বনু মুত্তালিবের নিকট প্রেরণ অব্যাহত থাকবে, যা আল্লাহর রসুল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পরিবারের ব্যাপারে কুরআনে বর্ণিত হয়েছে।
[ইবনু "আবদিল বার-এর আল-ইস্তিয়ার, ইবনু হাজার আসকালানীর আল-ইসাবাহ, ইবনু কাসিরের আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ, ইবনু হাজারের ফাতহুল বারী, বুখারীর হাদিস ৭১০৯ এর ব্যাখ্যা]
(৩)আবদুর রহমান বিন 'আবদ রব্ব আল-কাবা কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে যিনি বলেছেন: আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম যখন 'আবদুল্লাহ বিন 'আমর বিন আল-'আস কাবার ছায়ায় বসে ছিলেন এবং লোকেরা তার চারপাশে জড়ো হয়েছিল। আমি তাদের দিকে গেলাম এবং তার কাছে বসে পড়লাম। (এখন) 'আবদুল্লাহ বললেন: আমি আল্লাহর রাসূলের (সা.) সাথে একটি যাত্রায় ছিলাম। আমরা একটি স্থানে থামলাম। আমাদের মধ্যে কিছু লোক নিজেদের তাঁবু ঠিক করতে শুরু করল, কিছু লোক তীর ছোঁড়াতে প্রতিযোগিতা করতে লাগল, এবং কিছু লোক নিজেদের পশু চরাতে শুরু করল, যখন আল্লাহর রাসূলের (সা.) একজন ঘোষক ঘোষণা করলেন যে লোকেরা নামাজের জন্য একত্রিত হোক, তাই আমরা আল্লাহর রাসূলের (সা.) চারপাশে জড়ো হলাম। তিনি বললেন: আমার আগে চলে যাওয়া প্রত্যেক নবীর কর্তব্য ছিল তার অনুসারীদেরকে সেই সব ভাল কাজের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া যা সে জানত তাদের জন্য ভাল, এবং তাদেরকে সেই সব মন্দ কাজ থেকে সতর্ক করা যা সে জানত তাদের জন্য খারাপ; কিন্তু তোমাদের এই উম্মাহর শুরুতে শান্তি ও নিরাপত্তার দিন থাকবে, এবং এর শেষ পর্যায়ে এটি বিপর্যয় ও তোমাদের কাছে অপ্রিয় বিষয়ের সাথে আক্রান্ত হবে। (উম্মাহর এই পর্যায়ে), একের পর এক বড় পরীক্ষা আসবে, প্রত্যেকটি আগেরটি ক্ষুদ্র করে তুলবে। যখন তারা একটি পরীক্ষায় আক্রান্ত হবে, তখন মুমিন বলবে: এটি আমার ধ্বংস ঘটাবে। যখন (পরীক্ষাটি) শেষ হয়ে যাবে, তখন তারা অন্য একটি পরীক্ষায় আক্রান্ত হবে, এবং মুমিন বলবে: এটি অবশ্যই আমার সমাপ্তি ঘটাবে। যে কেউ আগুন থেকে মুক্তি পেতে এবং বাগানে প্রবেশ করতে চায়, সে যেন আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস নিয়ে মৃত্যুবরণ করে এবং মানুষের সাথে এমন আচরণ করে যেমনটি সে চায় যে তারা তার সাথে আচরণ করবে। যে ব্যক্তি খলিফার প্রতি আনুগত্যের শপথ করে, তাকে তার হাতের প্রতিশ্রুতি এবং হৃদয়ের আন্তরিকতা (অর্থাৎ উভয়ভাবে সমর্পণ করতে হবে) দিতে হবে। সে তার ক্ষমতার সর্বোচ্চ সীমায় তাকে মান্য করবে। যদি অন্য কেউ (খিলাফতের দাবিদার হিসেবে) এগিয়ে আসে, তার কর্তৃত্ব নিয়ে বিতর্ক করে, (মুসলমানদের) উচিত তাকে শিরচ্ছেদ করা। বর্ণনাকারী বলেছেন: আমি তার ('আবদুল্লাহ বিন 'আমর বিন আল-'আস) কাছে গিয়ে বললাম: আপনি কি শপথ করে বলতে পারেন যে আপনি এটি আল্লাহর রাসূলের (সা.) থেকে শুনেছেন? তিনি তার হাত দিয়ে তার কান এবং তার হৃদয়ের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন: আমার কান এটি শুনেছে এবং আমার মন এটি ধরে রেখেছে। আমি তাকে বললাম: আপনার এই চাচাতো ভাই, মু'আবিয়া, আমাদেরকে অন্যায়ভাবে আমাদের সম্পদ ভোগ করতে এবং একে অপরকে হত্যা করতে আদেশ দেয়, যখন আল্লাহ বলেন: হে মুমিনগণ, তোমরা অন্যায়ভাবে তোমাদের সম্পদ পরস্পরের মধ্যে ভোগ করো না, যদি না এটি পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বাণিজ্য হয়, এবং তোমরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই, আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু (সূরা আন-নিসা: ২৯)। বর্ণনাকারী বলেছেন যে (এটি শুনে) 'আবদুল্লাহ বিন 'আমর বিন আল-'আস কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন এবং তারপর বললেন: তাকে মান্য করো যতক্ষণ সে আল্লাহর আনুগত্য করে; এবং আল্লাহর অবাধ্যতার বিষয়গুলিতে তাকে অমান্য করো।[সহিহ মুসলিম:-আন্তর্জাতিক:৪৭৭৬)
(৪)মুয়াবিয়ার বাহিনী বানু উমাইয়ারা আলী (রা:) কে গালি ও অভিশাপ দেয়ার রীতি প্রণয়ন করে।প্রত্যেকটা হাদিস বিশাল বড়।এখানে সব দিলে লেখা অনেক বড় হবে।রেফারেন্স দিয়ে দিলাম।
=> সহিহ মুসলিম: ৬২২০, সুনানুন নাসাঈ আল কুবরাঃ ৮৪৩৯ [সহীহ বুখারী: ৩৭০৩, মুসলিম: ৬২২৯] [সুনানুন নাসাঈ আল কুবরাঃ ৮৪৭৭,, মুসতাদরাক লিল হাকিমঃ ৬১২১, [সুনানে আবু দাউদ: ৪৬৪৮, সুনানুন নাসাঈ আল কুবরাঃ ৮২০৮ [সুনানে আবু দাউদ: ৪৬৫০, মুসনাদ আহমাদঃ ১৬২৯]
(৫)কাব ইবনু উজরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে আমাদের সামনে আসলেন। আমরা সংখ্যায় ছিলাম নয়জন; পাঁচজন আরব এবং চারজন অনারব অথবা এর বিপরীত। তিনি বললেনঃ তোমরা শোন, তোমরা কি শুনেছ? খুব শীঘ্রই আমার পরে এমন কিছু সংখ্যক শাসক আবির্ভূত হবে, যে লোক তাদের সংস্পর্শে গিয়ে তাদের মিথ্যাচারকে সমর্থন করবে এবং তাদেরকে অত্যাচারে সহায়তা দান করবে সে আমার দলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয় এবং আমিও তার দলে অন্তর্ভুক্ত নই। আর সে ব্যক্তি হাওযে কাওসারে আমার সামনে পৌছতে পারবে না। আর যে লোক তাদের সংস্পর্শে যাবে না, তাদের অত্যাচারে সহায়তা দান করবে না এবং তাদের মিথ্যাচারকে সমর্থন করবে না, সে আমার এবং আমিও তার। সে হাওযে কাওসারে আমার সাক্ষাৎ লাভ করবে।
[ সুনান আত তিরমিজী :২২৫৯ (তাহকীককৃত),হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) ]
(৬)আবু নওফাল বলেছেন: আমি (আব্দুল্লাহ বিন যুবায়েরের মৃতদেহ) মদিনার রাস্তার পাশে ঝুলতে দেখেছি (যেটি মক্কার দিকে যায়)। কুরাইশরা এবং অন্যান্য মানুষরা সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় আব্দুল্লাহ বিন উমরও সেই রাস্তা দিয়ে গেলেন। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে বললেন: আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আবু খুবাইব (হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবায়েরের কুনিয়া), আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক আবু খুবাইব, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক আবু খুবাইব! আল্লাহর কসম, আমি আপনাকে এর থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম; আল্লাহর কসম, আমি আপনাকে এর থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম, আল্লাহর কসম, আমি আপনাকে এর থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম। আল্লাহর কসম, যতদূর আমি জানি, আপনি রোজা ও নামাজ পালনে খুবই নিষ্ঠাবান ছিলেন এবং রক্তের সম্পর্ক মজবুত করতে আপনি খুবই যত্নবান ছিলেন। আল্লাহর কসম, যে দলকে আপনি সম্পর্কিত বলা হচ্ছে, তা প্রকৃতপক্ষে একটি উৎকৃষ্ট দল। তারপর আব্দুল্লাহ বিন উমর চলে গেলেন। আব্দুল্লাহ (বিন উমরের) যে অবস্থান তিনি (আব্দুল্লাহ বিন যুবায়েরের উপর নির্দয় আচরণের) বিষয়ে গ্রহণ করেছিলেন এবং যে কথা তিনি বলেছিলেন, তা হাজ্জাজ (বিন ইউসুফ) এর কাছে পৌঁছানো হয় এবং (এর পরিণামে) তিনি (আব্দুল্লাহ বিন যুবায়েরের দেহটি) সেই স্তম্ভ (স্ক্যাফোল্ড) থেকে নামিয়ে নেন যেটিতে এটি ঝুলছিল এবং এটি ইহুদিদের কবরস্থানে নিক্ষেপ করেন। তিনি (হাজ্জাজ) আসমা (বিনত আবু বকর, আব্দুল্লাহর মা) এর কাছে (তাঁর দূতকে) পাঠান। কিন্তু তিনি আসতে অস্বীকার করেন। তিনি আবার দূতকে পাঠান এই বার্তা সহ যে, তাকে আসতেই হবে, নইলে তিনি তার চুল ধরে টেনে নিয়ে আসবেন। কিন্তু তিনি আবার অস্বীকার করেন এবং বলেন: আল্লাহর কসম, আমি আপনার কাছে আসব না যতক্ষণ না আপনি এমন একজনকে পাঠান যিনি আমাকে আমার চুল ধরে টেনে নিয়ে আসবেন। তখন তিনি বলেন: আমার জুতা নিয়ে আসো। তিনি তার জুতা পরলেন এবং অহংকার ও গর্বে ফুলে ফেঁপে তার দিকে দ্রুত হাঁটলেন এবং বললেন: আল্লাহর শত্রুর সাথে যা করেছি, তা আপনি কিভাবে দেখছেন? তিনি বললেন: আমি দেখতে পাচ্ছি আপনি তাকে দুনিয়াতে অন্যায় করেছেন, কিন্তু সে আপনার পরকাল নষ্ট করে দিয়েছে। আমার কাছে পৌঁছেছে যে আপনি তাকে (আব্দুল্লাহ বিন যুবায়েরকে) দুই বেল্টের ছেলের নামে ডাকতেন। আল্লাহর কসম, আমি সত্যিই (একজন মহিলা) দুই বেল্টের। একটিকে আমি ব্যবহার করতাম আল্লাহর রাসূল (‌সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং আবু বকরকে খাবার উচ্চ স্থানে ঝুলিয়ে রাখার জন্য, যাতে পশুরা তা খেতে না পারে এবং, দ্বিতীয় বেল্টটি এমন একটি বেল্ট যা কোনো মহিলা ছাড়া থাকতে পারে না। সত্যিই আল্লাহর রাসূল (‌সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের বলেছিলেন যে থাকীফে একজন মহান মিথ্যাবাদী এবং মহান হত্যাকারীর জন্ম হবে। মিথ্যাবাদী আমরা দেখেছি, এবং হত্যাকারী হিসাবে আমি আপনার বাইরে আর কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। 'এরপর তিনি (হাজ্জাজ) দাঁড়িয়ে রইলেন এবং তাকে কোনো উত্তর দেননি।(সহিহ মুসলিম:৬৪৯৬)

Comments

Popular posts from this blog

আজকের বিষয়:- খারেজ্বীদের উৎপত্তি এবং এর অন্তিম পরিণতি হযরত আলী(রা:) কে হত্যা

সিফফিনের যুদ্ধ।

আহলে বায়াতের মর্যাদা